কাকাতো বোন শোভনাই বনলতা সেন
জীবনানন্দ দাশের ইংরেজিতে লেখা দিনলিপি 'লিটারেরি নোটস'-এ 'ওয়াই' ছদ্মনামে এক মেয়ের উল্লেখ আছে। নানা বিচার-বিশ্লেষণ শেষে জীবনানন্দ-গবেষক ভূমেন্দ্র গুহর সিদ্ধান্ত, এই মেয়েটির প্রকৃত নাম শোভনা দাশ, ডাকনাম বেবী; সম্পর্কে কবির কাকাতো বোন, বন কর্মকর্তা অতুলান্ত দাশের মেয়ে। এই শোভনাই নাকি কবিতায় হয়ে উঠেছেন বনলতা সেন। প্রথম যৌবনে তার সঙ্গে কবির অন্তরঙ্গ পরিচয়। তখন লাবণ্য দাশের সঙ্গে কবির বিয়ের কথা পাকাপাকি। শোভনা যখন বেণি দুলিয়ে হাঁটতেন আর অদ্ভুত বিস্ময়ে মিলুদা মানে কবির কবিতা শুনতেন তখন থেকেই কবির সঙ্গে শোভনার ভাব। আর এ সময়েই ১৯৩৪ সালে লেখা হয় 'বনলতা সেন' (প্রকাশ ১৯৩৫)। 'কারুবাসনা' উপন্যাসেও শোভনা আছেন। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঝরাপালক'ও নাকি '_কল্যাণীয়াসু_' সম্বোধনের আড়ালে শোভনাকে উৎসর্গ করেন কবি। বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় যখন সিটি কলেজে শিক্ষকতা করছেন কবি তখন শোভনা ডায়োসেশান কলেজে পড়ছেন। এ সময় (১৯৩২) তিনি লিখলেন 'কলকাতা ছাড়ছি'। উপন্যাসের নায়িকা শচীও ডায়োসেশানে পড়ে। এ ছাড়া 'গ্রাম ও শহরের গল্প' উপন্যাসটির নায়িকা শচীও জীবনানন্দেরই শোভনা। 'লিটারেরি নোটস'-এ লেখা আছে ওয়াই=শচী। ধারণা করা হয় 'প্রেম' কবিতাটিও তিনি শোভনাকে নিয়েই লিখেছেন।
সূত্র : পদ্মাপাড়ের মানুষ ওয়েবসাইট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment