নাটোর
(নাটোরের বনলতা সেন)

Way of Rani Bhobon
নাটোর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
প্রশাসনিক বিভাগ | |
আয়তন (বর্গ কিমি) | ১,৮৯৬ |
মোট: ১৫,২১,৩৫৯ | |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: | বিশ্ববিদ্যালয়: ০ |
শিক্ষার হার | ২৭.০ % |
বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব | রানী ভবানী |
প্রধান শস্য | ধান, গম, আখ, পান |
রপ্তানী পণ্য | চিনি, ধান, শাক সবজি |
ভৌগলিক সীমানা
এই জেলার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো হলো: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং সিরাজগঞ্জ। এই জেলার উত্তরে নঁওগা ও বগুড়া, দক্ষিণে পাবনা ও কুষ্টিয়া, পূর্বে পাবনা ও সিরাজগন্জ এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা অবস্থিত।
নাটোরসহ এর পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে অবস্থিত চলন বিল হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল। সড়ক পথে ঢাকা থেকে এর দুরত্ব ২২০ কিমি।
প্রধান নদী
উল্লেখযোগ্য নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা নদী (পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি হিমালয় পর্বতে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা হয়ে প্রবেশ করেছে। আরিচাতে এটি যমুনা নদীর সাথে মিশেছে, এবং পদ্মা নামেই পরে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে। অত:পর মেঘনা বঙ্গোপসাগরে শেষ হয়েছে।বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত), আত্রাই, বড়াল, নারদ, নন্দকুজা, খলসাডাংগা উল্লেখষোগ্য।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
নাটোর জেলার উপজেলা গুলি হল –
Ø নাটোর সদর উপজেলা : (নাটোর সদর বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা)
Ø বাগাতিপাড়া উপজেলা : (বাগাতিপাড়া বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।)
Ø বরাইগ্রাম উপজেলা
Ø গুরুদাসপুর উপজেলা
Ø লালপুর উপজেলা
Ø সিংড়া উপজেলা
ইতিহাস
১৮৪৫ সালে রাজশাহী জেলার অধীনে নাটোর মহকুমার সৃষ্টি। আর অন্যান্য মহকুমার মতো জেলায় উন্নীত হয় ১৯৮৪ সালে।
অর্থনীতি
জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসল হলো ধান। এছাড়াও এখানে গম, ভূট্টা, আখ উৎপাদিত হয়।
এখানে বেশ কয়েকটি ভারি শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুইটি চিনিকল, একটি ডিস্টিলারি, একটি ফলের রস এর কারখানা। দেশের ১৬টি চিনিকলের মধ্যে ২টি এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়াও মূলতঃ এই জেলায় উৎপাদিত আখের উপর নি্র্ভর করে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী ও পাবনা জেলায় গড়ে উঠেছে আরও দুইটি চিনিকল।
চিত্তাকর্ষক স্থান
উত্তরা গণভবন (দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের নাটোর শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এককালের দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান এবং বর্তমান উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস। উত্তরা গণভবনপ্রাসাদের মূল অংশ এবং সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। ১৮৯৭ সালে প্রাসাদটি ভূমিকম্পে ধবংস হলে রাজা প্রমোদনাথ রায় পুরো প্রাসাদ আবার পূননির্মাণ করেন। ৪৩ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটি পরিখা ও উচু প্রাচীর ঘেরা। প্রাসাদের পূর্বপাশে পিরামিড আকৃতির চারতলা প্রবেশদ্বার রয়েছে যা উপরের দিকে সরু হয়ে গেছে এবং এর উপরে একটি ঘড়িও রয়েছে।
উত্তরা গণভবনপ্রাসাদের পিছন দিকে রয়েছে ফোয়ারা সহ একটি সুদৃশ্য বাগান। বাগানের এক কোণে রয়েছে প্রমাণ আকৃতির মার্বেল পাথরের তৈরি একটি নারী মূর্তি। ১৯৪৭সালের পর অবশ্য এ ভবনে আর কেউ বসবাস করেন নি।), পাগলা রাজার বাড়ী, যুব পার্ক, চলন বিল, বাগাতিপাড়ার জমিদার বাড়ি, লালপুরের পদ্মার চর।
No comments:
Post a Comment